গল্প:💗💗💗মিস লেট
এই নিধি কোথায় তুই??
আমি:এইতো ঘুমায়।
ওই ভার্সিটি যাবি না?
আমি:হ্যা যাবতো। কয়টা বাজে এখন?
10টা বাজতে গেল। ওঠ তারাতারি।
আমি ওঠে বাথরুমে গেলাম ফ্রেস হতে। পরিচয়টা দিয় আমি নিধি। আর যার সাথে কথা বললাম ওইটা আমার বান্ধবী।
আজ ভার্সিটিতে প্রথম দিন। তাও দেরি হয়ে গেল। আমার কলেজ লাইফে সব কিছু করতে লেট হয় বলে আমাকে সবাই মিস লেট বলে ডাকে।
কিরে মঙ্গল গ্রহে চলে গেলি নাকি??(বান্ধবীর ডাকে বতমানে ফিরে আসলাম)
আমি:ওকে ।আমি রেডি চলল
বান্ধবী :হুম চলল।
ভার্সিটিতে আজ আমার প্রথম দিন।কেমন জানি লাগছে। তারপরও ঠিক ভাবে কলেজে গেলাম। আমার বন্ধবী অন্য ডিপাটমেন্টে হওয়ায় ও ওর ক্লাসে চলে গেলো ।আমি আমার ক্লাস খুঁজতে খুঁজতে দেরি হয়ে গেলো এবং খুজেও পেলাম। ক্লাসে গিয়ে দেখি স্যার রুমে।স্যারের অনুমতি নিয়ে রুমে প্রবেশ করি। বাট একটা সমস্যা দেখা দেয় রুমে একটা সিটও খালি নেই। তবে শেষের দিকে একা একটা ছেলে বসে আছে। আমি গিয়ে ছেলেটার পাশে বসলাম।
ছেলেটা তার পাশে বসা দেখে এমন ভাব করছে আমি যেনো কত বড় একটা অন্যায় কাজ করেছি তার পাশে বসে।
তবে ছেলেটা দেখতে ভালই। সাধারণ সিমপিল পোশাক। বোঝা যায় অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করছে।
সেদিন ভাল মত ক্লাস করে বাসায় ফিরি। সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল বাট আমি ছেলেটার তাকানোর স্টাইলটা ভুলতে পারছি না। ক্যনো জানি কেমন কেমন ফিল হতে লাগল।
তারপর থেকে প্রতিদিনই ওই ছেলেটাকে একটু একটু ফলো করতাম। কিন্তু কখনো নাম জানার সাহস টুকু হয়নি। তবে খুব ভাল লাগত ছেলে টাকে। মাঝে মাঝে মনে হত ছেলেটাও আমার দিকে তাকায়। আর এভাবেই কেটে যায় আমাদের 2টা বছর। শুধু ছেলেটার দিকে তাকানো ছাড়া এই 2 বছরে নামটাও জানতে পারিনি।
ক্যনো জানি এইকয় দিন মনের ভেতর একটা জিদ চেপে বসল। আজ যে ভাবেই হোক আমার মনের কথা বলবোই। তাই আজ শাড়ি পড়লাম। নীল রঙের একটা শাড়ি। আর একটু সাজুগুজু করলাম। তারপর ভার্সিটি যাই। বাট আজকে ছেলেটাকে কোথায় খুঁজে পাচ্ছি না। কেমন জানি চিন্তা হতে লাগল। এই 2 বছরে ছেলেটাকে শুধু একজনের সাথে মিশতে ও কথা বলতে দেখেছে। আর সেই ছেলেটার বন্ধু না???
আমি:ভাইয়া আপনার বন্ধু কোথায়?
ভাই:কে আপু? আপনি কি শুভ্রের কথা বলছেন?
(আজ প্রথম ছেলেটার নাম জানলাম)
আমি :হ্যা ভাইয়া। কোথায় ও??
ভাইয়া :আপনি জানেন না??? শুভ্র তো হাসপাতালে।
(মনের ভেতর কেমন জানি হয়ে ওঠল। একপ্রকার কান্নার মত হয়ে গেলাম)
আমি:কি হয়েছে ওনার???
ভাইয়া:শুভ্রোর তো 2 টা কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে 😢😢😢
কি বলছেন এসব। ওনার কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। খুব কান্না পাচ্ছে। আমি ক্যনো সব কিছুতে এত দেরি করি। এসব ভাবতে ভাবতে রাস্তা পার হবার সময় একটা বাস এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। চোখের সমনে সব কিছু অন্ধকার হয়ে আসে। আমি আমার বান্ধবীকে শুধু একটা মেসেজ করি ""আমার কিডনী দুইটি যেনো শুভ্র কে দেয়""
#লেখক:মিস লেটের বয়ফ্রেন্ড